December 22, 2024, 9:57 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদকা/
কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি করে কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নেয়া চক্রের আরেক মুল হোতা রাতারাতি বড়লোক হয়ে উঠা এক হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মহিবুল। সে এই চক্রের ান্যতম সদস্য ও ঐ জালিয়াতি করা জমির ক্রেতা।
এর আগে বুধবার কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই সুজন ছাত্রদল থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী। তার আগে যারা গ্রেফতার হয় তারা হলো শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার খন্দকার আবুল হোসেনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে মিন্টু খন্দকার, কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়ার আতিয়ারের ছেলে মিলন হোসেন ও তার দুই বোন ছোনোয়ারা খাতুন ও জাহানারা খাতুন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা সুজনের নেতৃত্বে এই জালিয়াত চক্র পৈতিৃক সম্পত্তি তাঁর মা মোকসুদা খাতুন, চার বোন রিজিয়া খাতুন, বাসরো খাতুন, সালমা কবির ও শামীমা খাতুনরে এনআইডি জারিয়াতি করে প্রতারক চক্র তাদরে নামে ভুয়া এনআইডি র্কাড তৈরি করে
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর মৌজার ২৫৭৫, ২৫৭৬, ২৫৮০, ২৫৮১ দাগের মধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ২২ শতক জমির ভুয়া মালিক সেজে মাত্র ৭৭ লাখ টাকায় মহিবুল ইসলাম নামের ঐ হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। ওই জমির প্রকৃত মালিক শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ, তার মা মোকসুদা খাতুন, ৪ বোন রিজিয়া খাতুন, বাসরো খাতুন, সালমা কবির ও শামীমা খাতুন। এরা পিতা মৃত এম হাকিমের ওয়ারিশ সুত্রে ঐ জমির মালিক। জালিয়াত চক্রটি এদের সবার ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে রাতারাতি ঐ জমির মালিক বনে যায়। চক্রটি এখানেই থেমে থাকেনি, তারা শহরের এনএস রোডে আব্দুল ওয়াদুদের আরো একটি দোতলা বাড়িসহ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তিও একই কৌশলে বিক্রির চেষ্টা করছিল।
এ নিয়ে কয়েকটি নিউজ চ্যানেলে খবর প্রচারের পর পুলিশ বিষয়টি আমালে আনে। ইতোমধ্যে এ চক্রের সঙ্গে যুবলীগ নেতা সুজনের নাম উঠে আসায় গত রবিবার শহর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সুত্রে জানা যায় এই আশরাফুজ্জামান সুজন বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতিয়তাবাদী ছাত্রদলের ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন তিনি। আওয়াম লীগের এক শীর্ষ নেতার ইশারায় ২০১৭ সালের ১৫ মে ছাত্রদল নেতা সুজনকে আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট শহর যুবলীগের কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। এরপর থেকে সুজন টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।
তবে একাধিক সুত্র দাবি করছে এই জালিযাত চক্রের শেকড় আরো গভীরে রয়েছে জেলার অনেক রাজনৈতিক নেতাও এদের সাথে জড়িত রয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত ঘোষণা কাউকে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না। যারা জড়িত তারা যত প্রভাবশালী হোক গ্রেফতার করা হবে।
Leave a Reply